প্রতিনিধি:কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীকে বাঁচানোর আকুতি জানানো হয়েছে। ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবসে নরসুন্দা নদীপাড়ে মুক্তমঞ্চে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আলোচনা সভা ও মানববন্ধন করে এই আকুতি জানানো হয়।
নদীবিষয়ক জার্নাল রিভার বাংলার আয়োজনে ‘আমার নাম নরসুন্দা, আমি বাঁচতে চাই’ শিরোনামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল গনি, লেখক মু আ লতিফ, মহিলা পরিষদ কিশোরগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক অতিয়া হোসেন, গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যাপক কাজী করিম উল্লাহ, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মেহেদী হাসান, নিরাপদ সড়ক চাই কিশোরগঞ্জ শাখার সভাপতি ফিরোজ উদ্দিন ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ জেলা বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি মো. রুহুল আমীন, ছড়াকার বিজনকান্তি বণিক, শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, সমাজকর্মী গাজী মহিবুর রহমান প্রমুখ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নরসুন্দা নদী রক্ষায় ২০১২ সালে নেওয়া হয় ১১০ কোটি টাকার প্রকল্প। প্রকল্পটির আওতায় কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থেকে নীলগঞ্জ পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার পুনঃখনন ও পুনর্বাসনের কাজ করা হয়।
এত টাকা ব্যয় করা হলেও নদী নাব্যতা ফিরে পায়নি। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এলজিইডি ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথভাবে কাজটি করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পের টাকা নিয়েও লুটপাটের অভিযোগ আছে। নদীবিষয়ক জার্নাল রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, জেলা শহরের প্রধান নদী নরসুন্দা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে। দখল হচ্ছে, দূষিত হচ্ছে, দেখার কেউ নেই। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রবহমান স্বচ্ছ পানির নদী দেখতে চাই। পুনঃখনন ও পুনর্বাসন প্রকল্পে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রশাসনের উচিত নদী ভরাটের উৎসব, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করাসহ নদীর কচুরিপানা সরিয়ে নদীতে স্বচ্ছ পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি শহরের ময়লা-আবর্জনা, পলিথিনসহ অন্য কোনো ময়লায় যাতে নদীটি দূষিত না হয়, সে বিষয়ে সোচ্চার থাকা।’