দৈ. কি.ডেস্ক :প্রায় ৫২ ডিগ্রির ভয়াবহ তাপে হজে গিয়ে মক্কায় প্রায় ৫৫০ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে মিশরীয় হজযাত্রী বেশি। দুই আরব কূটনীতিক এএফপিকে বলেছেন, উচ্চ তাপের ফলে ৩২৩ জন মিশরীয় হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। কেউ কেউ ভিড়ের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে ওই কূটনীতিক। মৃতের মোট সংখ্যাটি মক্কার আল-মুয়াইসেম আশেপাশের হাসপাতালের মর্গ থেকে এসেছে। এছাড়া মৃতদের মধ্যে জর্ডানের ৬০ নাগরিকও রয়েছেন। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
এতে বলা হয়েছে, মক্কার সবচেয়ে বড় মর্গ আল মুয়াইজেম। মৃতদেহের ভিড়ে তা কার্যত ভরে গিয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতি আরও গুরুতর আকার নিতে শুরু করেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ।
গত বছর বিভিন্ন দেশ অন্তত ২৪০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে, যাদের অধিকাংশই ইন্দোনেশিয়ান। মক্কার বাইরে মিনায় স্বেচ্ছাসেবকরা হজযাত্রীদের পানি সরবরাহ করে তাদের ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করেন। ঠান্ডা পানীয় এবং চকোলেট আইসক্রিম দিয়ে তাদের সুস্থ রাখার চেষ্টা করেন। সৌদি কর্তৃপক্ষের মতে, প্রায় ১৮ লাখ হজযাত্রী এই বছর হজে অংশ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৬ লাখ সোদির বাহিন থেকে গিয়েছেন।
প্রতি বছর হাজার হাজার হজযাত্রী অনিয়মিত চ্যানেলের মাধ্যমে হজ সম্পাদনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ওসব যাত্রীরা বৈধ হজ ভিসার খরচ ব্যয়বহুল হওয়ায় ওসব অনিয়মিত চ্যানেলের মাধ্যমে হজে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে হজযাত্রীরা ঝুঁকির মধ্যে থাকে কারণ তারা হজ রুটে সৌদি কর্তৃপক্ষের দেওয়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিধাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে না।
বার্তা সংস্থা এএফপি-র সাথে কথা বলা একজন কূটনীতিক বলেছেন, যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের বড় একটি অংশ অনিবন্ধিত মিশরীয় হজযাত্রী। এসব অনিয়মিত হজযাত্রীরা মিশরীয় হজযাত্রীদের শিবিরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল, যার ফলে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই কূটনীতিক।
চলতি মাসের শুরুতে, সৌদি কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, তারা হজের আগে মক্কা থেকে কয়েক হাজার অনিবন্ধিত হজযাত্রীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এ বছর ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং সেনেগালের একাধিক হজযাত্রীর তীব্র তাপের ফলে মৃত্যু হয়েছে। তবে বেশিরভাগ দেশ তাপজনিত কারণে তাদের কতজন মারা গেছেন তা নির্দিষ্ট করেনি।