ঢাকা১৩ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্য প্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  11. বাণিজ্য
  12. বিনোদন
  13. বিশ্বজমিন
  14. মতামত
  15. রাজনীতি

পর্যটক আকর্ষণে কোটি টাকা ব্যয়ে রাঙামাটি ফিসারী বাঁধের সৌন্দর্যবর্ধন

admin
জুলাই ২, ২০২৫ ৫:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রূপ-লাবণ্যে ভরপুর, সবুজ অরণ্য ভূমি খ্যাত পার্বত্য জেলা রাঙামাটিকে পর্যটন শহর বলা হয়। এইবার পর্যটকদের আকর্ষণ করতে কাপ্তাই হ্রদের মধ্যখানে নির্মিত জেলা শহরের যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিসারী সংযোগ বাঁধ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন রুপে সাজিয়ে তুলছে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ।
সড়ক সংস্কার, সড়কের দু’পাশে ধারক দেয়াল নির্মাণ, পর্যটকদের ঘুরাঘুরি এবং আড্ডা দিতে সড়কের পাশে সৌন্দর্যমন্ডিত ফুলের বাগান, বসার স্থান নির্মাণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়; পর্যটকরা এ স্থানে বসে কাপ্তাই হ্রদের পুরো সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।
তৎকালীন সরকার ১৯৬৪সালে রাঙামাটি জেলার শহরের সাথে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার (রিজার্ভবাজার, তবলছড়ি, বনরূপা) যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে কাপ্তাই হ্রদের মধ্যখানে বাঁধ নির্মাণ করে ফিসারী সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছিলো। ফিসারী সংযোগ সড়কটির উপর জেলার পুরো শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে আছে।
তবে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি নির্মাণের পর থেকে আর কোন সংস্কারের কাজ করা হয়নি।
গত ২০১৭সালে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের সময় গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো। এছাড়াও হ্রদের ঢেউ ও পাহাড়ি ঢলের আঘাতে সড়কটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিলো।
সড়কটি সংস্কার এবং সড়কের দু’পাশের সৌন্দর্য ধরে রাখতে স্থানীয় জনসাধারণ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছিলো অসংখ্যবার। অবশেষে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি মিটিয়ে দিতে সড়টি সংস্কার ও সৌন্দর্যমন্ডিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।
ফিসারী বাঁধে বেড়াতে আসা নাজনীন বৃষ্টি বলেন, রাঙামাটি শহরের যোগাযোগ প্রধান ফিসারী সংযোগ সড়ক বাঁধ পর্যটকদের জন্য নতুন করে ঢেলে সাজায় আমরা খুশি। এখানে দাঁড়িয়ে ভাল সময় কাটানো যায়।
বেড়াতে আসা জোবায়ের রহিম বলেন, আমি সত্যিই মুদ্ধ, রাঙামাটি সড়ককে এমন ভাবে সাজানো হচ্ছে। পর্যটন শহর খ্যাত রাঙামাটি এমন ভাবে সাজার কারণে আমাদের কাছে ভীষণ ভাল লাগেছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়- সরকারের এ প্রতিষ্ঠানটি ১০কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ও সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেয়। পাশাপাশি পর্যটকদের বিনোদনের জন্য ৯০লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়াকওয়ে ও সৌন্দর্যবধর্ধনের কাজ শুরু করে।  এ পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানানো সওজের পক্ষ থেকে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পুরো কাজ শেষ হলে বাঁধটি হয়ে উঠবে রাঙামাটির অন্যতম পর্যটন স্পট। এই বাঁধ রাঙামাটির রিজার্ভবাজার, তবলছড়ি ও বনরূপা শহরের তিন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সংযোগস্থল।
কাপ্তাই হ্রদের দু’পাশে বিস্তৃত নীলাভ জলরাশি আর পাহাড়ি দৃশ্যপট এই বাঁধটিকে দর্শনার্থীদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয় করে তুলেছে। তবে বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় বাঁধটির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়েছিলো। এক পর্যায়ে সওজ খুঁটি পুঁতে আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যান চলাচল চালু রেখেছিলো
পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাঙামাটি পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড মিলেও বাঁধটি রক্ষায় টেকসই কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ২০১৭ সালের ১৩ জুনের পাহাড়ধসে জেলার ১৫১টি সড়ক অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেই দুর্যোগ থেকেই বাঁধটির পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয় সওজ।
রাঙামাটি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, ফিসারী সংযোগ সড়ক সংস্কার ও বাঁধের সৌন্দর্য বর্ধণ কাজ চলছে। সড়কটি পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে পর্যটকরা আকৃষ্ট হবে। স্থানীয় লোকজনও ওয়াকিং জগিং করার সুযোগ পাবে। এর ফলে রাঙ্গামাটিতে একটা আমূল পরিবর্তন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকৌশলী আরও বলেন, সড়ক বাঁধে সৌন্দর্যবর্ধন কাজ অনেকটা শেষ হয়েছে এবং তা আগামী দুই এক মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে।
কাঁঠালতলী ফিসারী সংযোগ বাধের রাস্তার অপর পাশেও প্রতিরক্ষা দেয়াল করার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী সবুজ চাকমা জানান এ বিষয়েও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে। সে অনুযায়ী সড়ক ও জনপদ বিভাগের বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শকরা কাজ করছেন ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।