ইমতিয়াজ আহমেদ :
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া শহীদ মিনারে গেলেই এখন মনে হয় যেন কোনো বাজারে ঢুকেছেন! প্রবীণ এক পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শহীদ মিনার তো দেখার জায়গা ছিল, এখন মনে হয় বাজার। হাঁটতেও হয় জুতো দেখে দেখে, কারণ সামনে-পেছনে-চারপাশে হকার।”
চাষাড়ার শহীদ মিনার নারায়ণগঞ্জ শহরের একমাত্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে নানা দিবসে এখানে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মানুষ। কিন্তু এখন মূল প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে থাকেন হকাররা—কেউ বিক্রি করছেন চিপস, কেউ খেলনা বা কাপড়। শহীদ মিনারের মূল বেদির চারপাশেও বসে পড়েছেন হকাররা।
পথচারী কামাল হোসেন বলেন, “শহীদ মিনারে ঢুকতে গেলেই আগে দরদাম, তারপর হাঁটা। লজ্জা লাগে, কিন্তু কিছু করার নেই।”
শুধু শহীদ মিনার নয়, আশপাশের ফুটপাত ও সড়কও হকারদের দখলে। ফলে পথচারীরা বাধ্য হয়ে গাড়ির রাস্তায় হাঁটছেন। বিশেষ করে রেলস্টেশন রোড দিয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। রিকশাচালক শওকত আলী বলেন, “একটু এগোতে ১০ মিনিট লাগে, রাস্তা পুরোপুরি দখল হয়ে গেছে।”
বিকেল হলেই পুরো এলাকা স্থবির হয়ে পড়ে। রিকশা, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার—সব গাড়ি ধীরে চলে। শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝে মাঝে প্রশাসন অভিযান চালায়, কিন্তু তাতে কোনো স্থায়ী সমাধান হয় না। দোকান কর্মচারী শাহ আলম বলেন, “প্রশাসন আসে, হকার সরায়, কিছুক্ষণ পর আবার সব আগের মতো হয়ে যায়।”